মাহফুজ ইসলামের গল্প ভাবনা, চিত্রনাট্য নির্মিত হলো নাটক ‘লুডু মাষ্টার’। এতে মূল চরিত্র লুডু মাষ্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাশেদ মামুন অপু। নাটকটির শুটিং হয়েছে পুবাইলে পনিরের বাড়িতে। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করবেন মুকিত জাকারিয়া, শাকিলা আকতার, কেয়া মনি, হারুন রশিদ, শেখ স্বপ্না, বাদল, আনয়ার হোসেন, ইমরান হাসু, প্যারিস প্রমুখ।
নাটকটির গল্পে দেখা যাবে নন্দনপুর গ্রামের মোল্লা পরিবারে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সুজন মোল্লা। বাবা শাহলম মোল্লা সুদের কারবারি হিসেবেই গ্রামের মধ্যে বিখ্যাত। টাকা পয়সার অভাব নেই। একমাত্র ছেলে পড়াশোনা করে না, খায়-দায়, ঘুরে-বেড়ায় আরো কী কী করে, এ নিয়ে বাবার কোন মাথা ব্যথা নেই। সুজন গোয়ালছাড়া গরুর মতো পারিবারিক শাসন-মুক্ত। সকাল থেকে ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত তার একটাই কাজ, সেটা হল লুডু খেলা! গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবার সাথেই লুডু খেলে। কখনো বাজি ধরে, আবার কখনো বাজি ছাড়াই। আর কাউকে না পেলে একা একাই খেলে৷ একারণে সবাই তাকে লুডু মাস্টার নামেই ডাকে। এই লুডু মাস্টার তারই গ্রামের সুমাইয়াকে খুব পছন্দ করে। সুমাইয়া দুইটা সমস্যা থেকে কখনো বের হতে পারে না।
এক- সে খুব পড়ুয়া ছাত্রী। ডিগ্রীতে পড়ে। পাশ করে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। দুই- সে বাবা-মা-হীন। ফলে বড় ভাই-ভাবির কাছে মানুষ হয়েছে। ভাই আবার সবসময় সাঙ্গোপাঙ্গ,চ্যালাচামুণ্ডাদের নিয়ে জল্লাদ-টাইপ চলাফেরা করে। তাই সে গ্রামের মধ্যে জল্লাদ ‘আকবর’ নামে পরিচিত৷ সুজন যে সুমাইয়াকে পছন্দ করে, পথে-ঘাটে দেখা হলে দাঁড় করিয়ে কথা বলে,প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সুমাইয়া বিরক্ত হয় এ কথাগুলো জল্লাদ আকবর জানতে পারে তার এক চেলার মাধ্যমে। আকবর তার চ্যালাচামুণ্ডাদের নিয়ে সুজনকে গ্রাম-ছাড়া করার উদ্দেশ্যে বর হলে, সুজন এ-খবর জানতে পেরে-ভয়ে পাশের গ্রামে পালিয়ে যায়। কিন্তু ঐ গ্রামে লুডুখেলায় খুব একটা সুবিধা করতে পারে না, ফলে আবার নিজ গ্রামে ফিরে আসে। আর জল্লাদ আকবরকে জানায় সে আর তার বোনের পিছু নিবে না। হঠাৎ একদিন সুমাইয়ার সাথে তার দেখা হয়। সে সুমাইয়াকে বলে যে, ‘আমি তোমাকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করি এবং ভালবাসি। কিন্তু তোমার অবহেলা আর অগ্রাহ্যতাই আমাকে আজকের লুডু-মাস্টার বানিয়েছে।’ এরকমই একটি গল্পে নির্মাণ হয়েছে নাটকটি।
পরিচালক মাহফুজ ইসলাম বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই এ কাজটি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। খুব কঠিন একটি কাজ করতে যাচ্ছি। সকলের সহযোগীতা আর ভালোবাসা নিয়ে একটি ভালো কাজ উপহার দিতে চাই দর্শককে।
তিনি আরো বলেন, নাটকটিতে একটি টাইটেল সং রাখা হয়েছে। এটির গীতিকবি আশাজ যুবায়ের। এখানের সুর ও কন্ঠ দিয়েছেন রেইন। এছাড়া মিক্সড এন্ড মাস্টারিং করেছেন সিরাজুল সালেহীন ও কম্পোজিশন নৈনামিক।
পরিচালক আরো বলেন, নৈনামিক প্রোডাকশনস প্রেজেন্ট গালিব হাসানের প্রযোজনায় নাটকটি এসএটিভির জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে।