বিনোদন সাংবাদিকদের আমন্ত্রণে রাজধানীর মগবাজারে দি এক্স পিকচার্সে বসেছিলো একঝাঁক চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের আড্ডা। সোমবার রাতের এই আড্ডায় তাৎক্ষণিক সাড়া দিয়ে জড়ো হয়েছিলেন সময়ের ব্যস্ত সব চলচ্চিত্র কলাকুশলীবৃন্দ।
তবে আড্ডা পর্বটি কেবল কথাবার্তায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, এক পর্যায়ে শীতের আগমন বার্তাকে অভ্যার্থনা জানাতে আগত অতিথিদের মাঝে বিতরণ করা হয় নেত্রকোণা থেকে আনা হাঁসের মাংস। সঙ্গে হাতে বানানো রুটি। আড্ডা আর খাওয়া দাওয়ায় পরিবেশ হয়ে উঠেছিলো প্রাণবন্ত এক এফডিসিপাড়া।
বহুদিন বাদে এমন আড্ডা সত্যি নিজেকে অনেক বেশি হালকা মনে হচ্ছে- বলছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শিল্পী চক্রবর্তী। এমন আড্ডাঘন সন্ধ্যায় একটু গভীর রাত পর্যন্ত কাটিয়ে যাওয়া মন্দ হবে না, সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান চিত্রসম্পাদক আবু মুসা দেবু, আমির সিরাজী, শাহ আলম মণ্ডল, অনিক বিশ্বাস, রফিক শিদকার, মিজানুর রহমান মিজান, শামীমুল ইসলাম শামীম, এস এম দুলাল, ইমন সাদিক, সুব্রত চক্রবর্তী, ড্যান্স ডিরেক্টর আজাদ।
পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব রানা, ব্যস্ত নাট্যনির্মাতা ফরিদুল হাসান, পরিচালক সমিতির সাবেক মহাসচিব বদিউল আলম খোকন তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন- সত্যি এটা ছিলো অনবদ্য এক আয়োজন। অনেকদিন পর বহুজন সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে আড্ডা, গল্প এবং খাওয়া হলো।
এদিন অতিথি হয়ে এসে আড্ডাকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলেন খলঅভিনেতা শিবা শানু, বড়দা মিঠু। চিরায়ত সৌন্দর্য নিয়ে শাড়ি আবৃত হয়ে আড্ডায় উত্তাপ ছড়িয়ে গেছেন চিত্রনায়িকা কেয়া। সদ্য বিয়ে করা কণ্ঠশিল্পী দম্পতি স্মরণ-মোমিন বিশ্বাস হয়ে উঠেছিলেন আয়োজনের অংশ। একইভাবে গীতিকার প্রফেসর হোসনে আরা জলিও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। জানালেন দীর্ঘদিন পর দেখা হলো একসঙ্গে এতো এতো সাংবাদিকদের সঙ্গে। বিশেষ করে ভালো লাগছে দুলাল খানকে দেখে। এদিকটা দুলাল খানই সামাল দেন।
অপরদিকে ছয় মাস পর মগবাজারমুখী হলেন প্রযোজক শরীফ চৌধুরী জানালেন ‘শুধু আড্ডা হবে ভেবে এসেছি। সত্যি দারুন অনুভূতি’। হাজারো কাজের ব্যস্ততা ফাঁকে পুরো আয়োজনে অংশ ছিলেন ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ রিসোর্টের কর্ণধার রাশেদ খান, প্রযোজক-অভিনেতা মুন্না, প্রযোজক মামুন চৌধুরী।
গভীর রাতে আড্ডা আয়োজন ভাঙার আগে চাঙা করে গেলেন হ্যান্ডসাম চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী।
আনন্দয়োজনের সমন্বয় সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তর বলেন, অনেকদিন ধরে এমন একটা আড্ডার সময় খুঁজছিলাম। গত শীতে করোনার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় একবার ক্যানসেল করি। এবার ফের সকল সাংবাদিকবৃন্দ মিলে পরামর্শ করি। সকলে রাজি হওয়ায় একদিনের নোটিশে করেই ফেললাম।
আগতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, চলচ্চিত্র কলাকুশলী ও একঝাঁক সাংবাদিকবৃন্দের এই মিলনমেলায় থেকে এতটুকু বুঝতে পারছি ঝিমিয়ে পড়া চলচ্চিত্র প্রাণ পেতে আড্ডার বিকল্প নেই।
এদিন সাংবাদিকদের মধ্যে এসেছিলেন ইমরুল শাহেদ, দেওয়ান হাবিব, লিটন এরশাদ, কামরুল হাসান দর্পন, খালেদ আহমেদ, মইন আব্দুল্লাহ, লিমন আহমেদ, রওনক ইকরাম, এন আই বুলবুল, সৌরভ বাপ্পী, নিথর মাহবুব, রাহাত সাইফুল, রনজু সরকার, আসাদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, রাকিব হাসান, রাকিবুল আলম, রুবেল সামাদ, আসিফ আলম, রুহুল আমিন, ডিআরইউ’র নেতা মিজানুর রহমান এবং অভিনেতা-সাংবাদিক আহমেদ সাব্বির রোমিও।