সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘আগস্ট ১৯৭৫’ এবং “টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই” চলচ্চিত্র নির্মাণ করে স্বাধীনতা বিরোধীদের রোষানলে পড়েছেন দেশের খ্যাতনামা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার, প্রযোজক ও পরিচালক মো: সেলিম খান। হঠাৎ করেই তাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার শুরু করেছে ওই চক্রটি।
জানা যায়, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী হিসেবে ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বিল পেশ করেন। যা ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে পাসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের বিএফডিসি। অথচ জাতির পিতাকে নিয়ে কেউই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেনি। দেশের খ্যাতনামা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার, প্রযোজক ও পরিচালক মো: সেলিম খানই প্রথম জাতির পিতাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এরইমধ্যে সিনেবাজ অ্যাপে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ বিনামূল্যে প্রদর্শনী চলছে। আর ‘আগস্ট ১৯৭৫’ চলচ্চিত্রের টিজার উন্মুক্ত করার পর থেকেই স্বাধীনতা বিরোধীরা তৎপর হয়ে উঠেছে।
চক্রান্তের অংশ হিসেবে চিত্রনায়িকা পরীমণি ইস্যুতে হঠাৎ করেই সেলিম খানকে জড়িয়ে মিথ্যা গল্প কাহিনী লিখে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টাও চলছে। এই অপপ্রচারে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ঈদুল আজহায় চিত্রনায়িকা পরীমনি ৬টি গরু কোরবানি দিয়েছেন। আর সেই গরু দিয়েছেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান।‘ এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সেলিম খান ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
সেলিম খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি পরীমনিকে গরু দেননি। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতিকে ৪টি গরু দিয়েছেন। এছাড়া চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে দুটি গরু দিয়েছেন তিনি। পরিচালক, শিল্পী ও প্রযোজকদের তত্ত্বাবধানে এসব গরু কাকরাইলে শাপলা মিডিয়ার অফিসের সামনে কোরবানি দেয়া হয়েছে। সেলিম খান প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলোর গল্প অনুযায়ী পরীমনি অভিনয়ের সুযোগ পায়নি। তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনাও শাপলা মিডিয়ার নেই। অথচ মনগড়া এমন সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি রীতিমত আহত হয়েছে। সেলিম খান বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনির নাম শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে সামনা-সামনি দেখা হয়নি। এছাড়া কখনো ফোনেও তার সঙ্গে কথা হয়নি। সেলিম খান চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, যে কেউ তার তিনটি মোবাইল নাম্বারের কল লিস্ট যাচাই করে দেখতে পারেন।
সেলিম খান আরো জানান, তিনি চলচ্চিত্রের স্বার্থ রক্ষায় সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সাংবাদিকদের ভিত্তিহীন নিউজ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। কারণ এসব নিউজ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। চলচ্চিত্র নিয়ে যেভাবে কাজ করে চলেছেন সেবিষয়ে সহোযোগিতার আহ্বানও জানান সেলিম খান।
সেলিম খান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে নিয়ে দুটি চলচ্চিত্র ‘আগস্ট ১৯৭৫’ এবং “টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই” নির্মাণ করেছেন। সেই সঙ্গে করোনাকালে যখন কোনো প্রযোজক সিনেমা নির্মাণ করেনি, তখন চলচ্চিত্রকে চাঙ্গা রাখতে এবং শিল্পী-কলাকুশলীদের পাশে দাঁড়াতে তিনি এবং তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একাধিক সিনেমা নির্মাণ করেছে। এ জন্যে চলচ্চিত্র অঙ্গণের বিএনপি জামায়াত চক্র তার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠেছে। তারাও শাপলা মিডিয়া এবং তার নামে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
সেলিম খানের ধারনা, একটি চক্র এবং গোষ্ঠি তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারের অংশ হিসেবে সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।
উল্লেখ্য- মোঃ সেলিম খান, দেশের খ্যাতনামা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া এবং শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার এবং চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত সেলিম খান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।