অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার খবর প্রকাশ্যে আসার পর কয়েকজন চলচ্চিত্রকর্মী চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের তীর ছুড়ে। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যায়, শিমুকে হত্যা করেছে তার স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ ও জেরার পর হত্যার দায় স্বীকার করে নোবেল। পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জায়েদ খানের নাম জড়ানোর অভিযোগে আইনি ব্যবস্থ নিচ্ছেন তিনি। তার ভাষায়, তিন-চার জন মানুষ নির্বাচন বানচাল এবং নোংরা রাজনীতি করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে আমার নাম জড়িয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। আমার সম্মানহানি করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।
জায়েদ খান আরও বলেন, গত দুই বছরে শিমুর সঙ্গে আমার দেখা ও কথা হয়নি। আর যা হচ্ছে তা নির্বাচন ঘিরে তিন-চার জনকে সামনে রেখে অন্য কেউ নোংরা রাজনীতি করছে। তাদের সহযোগী সদস্য করা হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেটি ২০২২ সালে এসে কেন কথা হবে। তারা হাইকোর্টে মামলা করেছে সেটি চলমান। সেই চলমান বিষয়টি নিয়ে কেন নোংরামি হবে।
প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যদি মূল আসামী গ্রেপ্তার না করতো তাহলে এটা নিয়ে এফডিসিতে আরও বড় নোংরামি হতো। সবকিছু হচ্ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। রিয়াজ ভাইয়ের মতো অভিনেতা মায়া কান্না করছে অভিনয় করে। অথচ এই রিয়াজ ভাই ২০১৭ সালে আমাদের সঙ্গে যাচাই-বাছাই কমিটিতে থেকে সহযোগী সদস্য করেছে তাদের৷ বিপরীত প্যানেলের অনেকেই এই নোংরামিতে জড়িত। তার সঙ্গে অন্য সংগঠনের অনেকেই যোগ দিয়েছে। তারা শিল্পী সমিতির ভালো চায় না। যার কারণে শিমু হত্যাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিত্ত করছে।
যোগ করে জায়েদ খান বলেন, সাদিয়া নামের মেয়েটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। যাকে আমি কমিটিতে এসে সদস্য হিসেবেই পাইনি৷ তিনি এই নোংরামি করার অন্যতম একজন। তার সঙ্গে ফিরোজ শাহীসহ কয়েকজন যুক্ত হয়েছে। আমার নামে মিথ্যাচার করে ইমেজ নষ্ট করছে। গত দুই মেয়াদের আমার কাজ দেখে সবাই হিংসাপরায়ণ। যার কারণে সবকিছুতে আমার নাম জড়িয়ে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।