সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে নাটক ” লুডু মাষ্টার “। নৈনামিক প্রোডাকশনস প্রেজেন্ট গালিব হাসানের প্রযোজনায় নাটকটি এসএটিভির পর্দায় আগামীকাল শুক্রবার ( ১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় প্রচার হবে। এরপর নাটকটি ডুয়েট ডট কমিউনিকেশন এর ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাবে।
আর এ নাটকের মূল চরিত্র লুডু মাষ্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাশেদ মামুন অপু। মাহফুজ ইসলামের গল্প ভাবনা, চিত্রনাট্য এ নাটকে আরো অভিনয় করেছেন মুকিত জাকারিয়া, শাকিলা আকতার, কেয়া মনি, হারুন রশিদ, শেখ স্বপ্না, বাদল, আনয়ার হোসেন ও ইমরান হাসু ও প্যারিস প্রমুখ। চিত্রগ্রহণ হিসাবে ছিলেন হাসানুজ্জামান রাজিব ও সাইফুল ইসলাম।সম্পাদনা ও রংবিন্যাস করেছেন হালিম আহমেদ আতিশ।
নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, নন্দনপুর গ্রামের মোল্লা পরিবারে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান, সুজন মোল্লা। বাবা শাহলম মোল্লা সুদের কারবারি হিসেবেই গ্রামের মধ্যে বিখ্যাত।টাকা পয়সার অভাব নেই।একমাত্র ছেলে পড়াশোনা করে না,খায়-দায়, ঘুরে-বেড়ায় আরো কী কী করে,এ নিয়ে বাবার কোন মাথা ব্যথা নেই। সুজন গোয়ালছাড়া গরুর মতো পারিবারিক শাসন-মুক্ত। সকাল থেকে ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত তার একটাই কাজ,সেটা হল লুডু খেলা! গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-
বনিতা সবার সাথেই লুডু খেলে। কখনো বাজি ধরে,আবার কখনো বাজি ছাড়াই। আর কাউকে না পেলে একা একাই খেলে৷ একারণে সবাই তাকে লুডু মাস্টার নামেই ডাকে। এই লুডু মাস্টার তারই গ্রামের সুমাইয়াকে খুব পছন্দ করে। সুমাইয়া দুইটা সমস্যা থেকে কখনো বের হতে পারে না। এক- সে খুব পড়ুয়া ছাত্রী।ডিগ্রীতে পড়ে। পাশ করে চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। দুই- সে বাবা-মা-হীন।ফলে বড় ভাই-ভাবির কাছে মানুষ হয়েছে।
ভাই আবার সবসময় সাঙ্গোপাঙ্গ,চ্যালাচামুণ্ডাদের নিয়ে জল্লাদ-টাইপ চলাফেরা করে। তাই সে গ্রামের মধ্যে জল্লাদ ‘আকবর’ নামে পরিচিত৷ সুজন যে সুমাইয়াকে পছন্দ করে,পথে-ঘাটে দেখা হলে দাঁড় করিয়ে কথা বলে,প্রেমের প্রস্তাব দেয়।সুমাইয়া বিরক্ত হয় এ কথাগুলো জল্লাদ আকবর জানতে পারে তার এক চেলার মাধ্যমে। আকবর তার চ্যালাচামুণ্ডাদের নিয়ে সুজনকে গ্রাম-ছাড়া করার উদ্দেশ্যে বর হলে,সুজন এ-খবর জানতে পেরে-ভয়ে পাশের গ্রামে পালিয়ে যায়। কিন্তু,ঐ গ্রামে লুডুখেলায় খুব একটা সুবিধা করতে পারে না,ফলে আবার নিজ গ্রামে ফিরে আসে। এরকমই এগিয়ে যাওয়া গল্পে নির্মাণ হয়েছে নাটক ” লুডু মাষ্টার “।
পরিচালক মাহফুজ ইসলাম বলেন, লুডু খেলা যতক্ষন পর্যন্ত সাময়িক আনন্দ ও চিত্তবিনোদনের জন্য হয় ততক্ষন তা খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে । কিন্তু যখনই তা নেশার আসক্তিতে রুপান্তরিত হয় তখনই এই খেলা সামাজিক বিপর্যয় ও অবক্ষয়ের কারন হয়ে দাঁড়ায় এই গল্পে এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, নাটকটিতে একটি টাইটেল সং রাখা হয়েছে। এটির গীতিকবি আশাজ যুবায়ের। এখানের সুর ও কন্ঠ দিয়েছেন রেইন। এছাড়া মিক্সড এন্ড মাস্টারিং সিরাজুস সালেহীন ও কম্পোজিশন নৈনামিক।