নাট্যকার কুমার অরবিন্দের পান্ডুলিপীতে নির্মাতা ফেরারী অমিত নির্মাণ করলেন ৬ (ছয়) পর্বের ধারাবাহিক “নির্মাতা ও নাটক ” এই ধারাবাহিকের গল্পে নির্মাতা তুলে ধরেছেন এই সময়ে নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন নতুন মুখ শাহাদাত সৈকত। এছাড়াও নাটকটিতে অভিনয় করছেন “শেলী আহসান, শাহাদাত সৈকত, ইমু শিকদার, সঞ্চিতা দত্ত, হারুন অর রশিদ, জুলফিকার চঞ্চল, নির্জন আজাদ, অয়ন, স্বপন দেওয়ান, মুস্তাক মুকুল, জাহিদ আব্বাস, রিপন, মহসিন রনি, এ এইচ রানা”, আরো অনেকে।
এক গল্পে সপ্তাহ শিরোনামে নাটকটি সম্প্রচার হবে “চ্যানেল নাইন” এ শনি থেকে বৃহস্পতি বার প্রতিদিন রাত ১১টায়।
নাটকে গল্পে দেখা যাবে, নইম সময় পেলেই বিভিন্ন দেশের সিনেমা, নাটক দেখে। সেগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে বিচার করে। সে নিজে সিনেমাটা বানালে কোথায় কি ধরণের পরিবর্তন করত, শট ডিভিশন কেমন হতো তা নিয়ে ভাবতে থাকে। কারণ সে সিনেমা বানাতে চায়। সিনেমা বানানোর জন্য হাত পাকানো দরকার। হাত পাকানোর কাজ করে টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপন বানিয়ে। অন্যের হয়ে কিছু কাজ করে দিয়েছে। কিš‘ নিজের নামে এখনো কিছু প্রচার হয়নি। তাই সে উঠে পড়ে লেগেছে একটা টিভি নাটক বানানোর জন্য। ঘটনাক্রমে নইমের সাথে পরিচয় হয় শাওনের। শাওন গল্প লেখে। কয়েকটা পত্রিকায় তার গল্প ছাপা হয়েছে, একটা গল্পের বইও আছে তার। নইমকে জানায় সে টিভি নাটকের জন্য স্ক্রিপ্ট লিখতে চায়। দুইজনের ভাবনা মিলে গেলে নইম ও শাওন একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে তারা গল্প নিয়ে ভাবে। নইম কোন থিম দিলে শাওন সেটা নিয়ে রাতদিন ভেবে নাটকের উপযোগী করে গল্প দাঁড় করায়। সেটা নিয়ে আবার আলোচনা হয়। ফাইনাল গল্প দাঁড়ালে নইমের শুরু হয় চ্যানেলে দৌড়ানো। চ্যানেল গল্প শুনে পছন্দ করে না। আবার নতুন গল্পের সন্ধানে নামে নইম ও শাওন। রাত জেগে তারা গল্প ভাবে। এতে শাওনের পড়াশুনায় ক্ষতি হয়। তবু এক ধরণের নেশা তাকে পেয়ে বসে। সে বই পড়ে, গল্প লেখে। নইমকে দেখায়।
নইম গল্প নিয়ে আবার চ্যানেলে যায়। চ্যানেলের পছন্দ হলেও তারা বাজেটের সাথে কারা অভিনয় করবে তাদের একটা লিস্ট নইমের হাতে ধরিয়ে দেয়। নইম হিসাব করে দেখে চ্যানেলের ধার্য বাজেটে লিস্টেড আর্টিস্ট নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। কখনো চ্যানেল কনফার্মেশন পেলে খোজা শুরু হয় প্রডিউসার। কিš‘ যে টাকা চ্যানেল দিতে চায় সেই টাকার মধ্যে কোনো প্রডিউসার টাকা লগ্নি করতে চায় না। শিল্পের চেয়ে ব্যবসাকে তারা বড় করে দেখেন। নইম দমে না গিয়ে খেয়ে না খেয়ে, সময়ে অসময়ে প্রডিউসারের পেছনে ছুটতে থাকে।’